সোমবার, ২৭ আগস্ট, ২০১২

অথৈ অন্ধকার

মোঃ নাঈম হোসেন(নয়ন)

-মনেকরো আমি একটা ছোট্ট নৌকোর মাঝি। আর তুমি হলে আমার যাএী। এখন চোখ বন্ধ করো। আমার নৌকো চলছে ধীরে ধীরে। বেশি নড়বেনা কিন্তু, তাহলে টুপ করে পানিতে।

-আচ্ছা

-এখন ভাবো বৃষ্টি হচ্ছে। দুজনেই বৃষ্টিতে ভিজছি। তোমার ভেজা শরীরের দিকে তাকাতে পারছি নাহ। আমি লজ্জা পাচ্ছি, তারপরেও তাকিয়ে আছি। তোমার কাছে যেতে ইচ্ছে করছে। খুব কাছে, যাতে তোমার শরীরের ঘ্রাণ পাই। আমি তোমার কাছে এগিয়
ে যাচ্ছি।

-এই দেখ খবরদার কাছে আসবানা। আমি নৌকা থেকে তোমাকে ফেলে দিব কিন্তু। হি হি হি।

-এই নৌকা দোলাচ্ছ কেন? আমি পড়ে যাব তো। আমি সাতার পারি নাহ। হা হা হা।

-হইছে অনেক হইছে রাখ ফোন রাখো, খালি বদমাইশি চিন্তা হি হি হি। বাই।



এই হচ্ছে আমার আর বিন্দুর নতুন খেলা। জানিনা সে দেখতে কেমন, কোথায় থাকে, বয়স কত কিছুই জানিনা, শুধু জানি সে বাংলায় কথা বলে এবং খুব মিষ্টি করে কথা বলে। আমার প্রবাস জীবনের একাকিত্ত অনেকটা দূর করে দিয়েছে সে।

একদিন হঠাত করেই একটা বাংলাদেশী নাম্বার থেকে মিসড কল পাই। ভেবেছি পরিচিত কেউ কল দিল কিনা। বেক করলাম।

-হ্যালো কে..
- কি আপনার সমস্যা কি? কখন থেকে কল করে জালাতন করছেন।
-Excuse me, আপনি মনে হয় ভুল করছেন।
-ভুল করেছি। হ্যা ফাইজলামি করেন। তাইনা...
-শুনেন আজাইরা পেচাল পারার টাইম আমার নাই, আপনার কল পেয়েই বেক করেছি, যত্তসব...

আমি ফোন রেখে দিলাম। এখান থেকে বাংলাদেশে ফোন করতে খরচ একটু বেশি। আমি খুব বেশি জরুরী না হলে সপ্তায় কেবল ১/২ বার ফোন দেই বাড়িতে। সেই মেয়েটার ফোনের কথা ভুলেই গিয়েছিলাম।

-হ্যালো কে?

-দেদার ছে মিস কল দিচ্ছেন, এখন চিনতে পারছেন না। ভালইতো শুরু করছেন।

-শুনেন আপনি কে আমি জানিনা, আপনাকে আমি ফোন দেইনাই। প্রথম দিন ভেবেছি হয়ত আমিই ভুল করেছি, এখন মনে হচ্ছে আপনি ইচ্ছে করেই এইটা করছেন।

-ও তাই না, আপনি বানিয়ে বলবেন আর আমার বিশ্বাস করতে হবে নাকি। আচ্ছা যাইহোক ফোনতো করেই ফেলেছেন, এখন আর লজ্জা পেয়ে কি হবে। চাইলে কথা বলতে পারেন।

এইতো এইভাবেই শুরু হল দুটি অদেখা মানুষের পরিচয় থেকে বন্ধুত্ব, তারপর প্রনয়। পরে জানলাম, তারা হলের বান্ধবিরা মিলে এমন উলটা পালটা ডায়াল করে ছেলেদের সাথে কথা বলে। এইটার নাম দিয়েছে টাংকি মারা। আমিও গাধা সেই টাংকিতেই ডুব দিয়েছি কখন বুঝতেই পারি নাই। যখন বুঝলাম তখন অনেক দেরী হয়ে গেছে। ভীষন দেরী।

-এই বউ কেমন আছো।
-আমাকে বউ বলবানা। আমাকে বিয়ে করেছো নাকি!! হি হি হি।
-দুইজনই দুইজনকে যেহেতু ভালবাসি বলেছি, তাতে অর্ধেক বিয়ে হয়ে গেছে। হা হা হা।
-ও তাই নাকি...
-এই তোমার ছবি ইমেইল করোনা, প্লিজ। খুব দেখতে ইচ্ছে করছে।
-এহ ঢং পাইছো, চিনি না জানি নাহ...
-কি বললা...
-না মানে বললাম যখন দেশে আসবা তখনই দেইখো।

চিনি না যানি না...মানে কি! এই কথা কেন বলে। আর না চিনলে ভালবাসি কেন বলল? কিন্তু আমিতো তাকে ভয়ঙ্কর রকমের বিশ্বাস করেই না দেখেই ভালবাসি বলেছি।

-কিরে মামা কার লগে কথা কও।
-কেউ না ফ্রেন্ড।
-ফ্রেন্ড মাইয়া না পোলা।
-তোর এত জানার দরকার কি? ভাগ শালা।

আমাদের ফোনে কথা হচ্ছে প্রায় ৯ মাস। আমি ভীষন ভাবে তার মাঝে হারিয়ে গেছি। কিন্তু তার মধ্যে কেমন জানি একটা ঘোলাটে ভাব। আমি ঠিক বুঝতে পারছি না। তাকে অনেক কথাই আমি জিজ্ঞাসা করলে রেগে যায়। ফোন ধরে নাহ। আমার নাম্বার ব্লক করে রাখে। তারপর আবার কোন একদিন ফোন দেয়। মায়া লাগা কথা বলে। আবার সপ্ন দেখা নাহ সপ্ন দেখানো শুরু হয়।

-এই তুমি আমাকে ঘুরাচ্ছো নাতো।
-কেন বললা এই কথা কেন?
-না মানে তোমার ছবি চাইলাম তুমি দিলেনা। আমার ফেসবুকেতো আমার ছবি, ফেমিলির ছবি, সব কিছুইতো তুমি জানো।
-তো তাতে কি হইছে!!
-না মানে তোমাকে মনে হয় তুমি আয়নার ভেতরে আছো, কিন্তু আয়নাটা ঘোলাটে, চেহারা দেখতে পাচ্ছি না।
-শোন আর কোনদিন আমাকে ফোন দিবানা। বাই।

সে আমাকে ফেসবুক থেকেও ব্লক করেছে। ফোনের সিমও মনে হয় বন্ধ। আমি পাগলের মত তাকে মিস করছি। আমি তাকে ভালোবাসি, খুব খুব বেশি। সে এমন কেন করলো।

অনেক পরে টের পেয়েছি এইটা টাংকি টাংকি খেলার একটা অংশ। যখন ছেলেটা পুরোপুরি জালে আটকে যায়, তখনই শুরু হয় এই পর্ব মেণ্টাল টর্চার। যার পেছনে সবচেয়ে বেশী ছেলে ঘুরবে। বন্ধু মহলে তার রেটিং তত বেশি। হায়রে মেয়ে মানুষ।

আমার সিগারেট খাওয়া বেড়েছে তারসাথে যোগ হয়েছে ড্রিংক। হা হা হা। আমি কেন নিজেকে কষ্ট দিচ্ছি নিজেও জানি না। কোন ছেলেই হয়তো জানে না। এই সময়ে হয়ত একটা ছেলে, যে অন্ধের মত ভালবাসলো একজনকে, সে তার নিজেকে টর্চার করে এই ভেবে- কেন আমি তাকে অপ্রিয় কথা গুলা বললাম। কেন বললাম। আমার জন্যই সে দূরে চলে গেলো।

বন্ধুরা সবসময় বলত বেশিরভাগ মেয়েরা কিন্তু আমাদের ঘুরাতে পছন্দ করে। এক সময় বাড়ী থেকে যাকে নিয়ে আসে তাকেই বিয়ে করে। আমি কখনোই বন্ধুদের কথায় সায় দেই নাই।

একটা মেয়ে যদি মনে প্রানে বিশ্বাস নাই করে যে এই ছেলেটার সাথেই তার বিয়ে হবে, তবে কিভাবে ভালবাসি বলে, কিভাবে পারে তার শরীর নিয়ে কথা শেয়ার করতে, কিভাবে তার গোপন কথাগুলোও প্রকাশ করল নির্দিধায়।

-এই শুনো না আমরা কিন্তু বিয়ের প্রথম বছরেই বাবু নিয়ে নিবো। ঠিক আছে।
-ঠিক আছে।
-আর শুনো বাবুর জন্যে কিন্তু আলাদা খাট হবে, আমি কিন্তু তোমাকে ছাড়া থাকতে পারবো নাহ। হি হি হি।

আরো আরো অনেক গোপন কথা। আমি কখনই বুঝতে পারি নাই এইগুলা জাস্ট একটা খেলা যা শরীর আর মনকে মায়াজালে আঁকড়ে ধরে এবং পাপী করে তোলে। আমি নিজেকে গাধা বলব না অমানুষ বলব আমি জানি না। একটা মেয়ে যাকে ভালবাসি এবং তার কাছ থেকে সবসময় এমন কথা শুনেই একদিন আমিও সেই পাপে ঝাপিয়ে পড়লাম।

-এই আমার বুকে আসো।
-যাহ কি বলো, ফোনে কিভাবে...
-চোখ বন্ধ করে আমাকে ভাবো..

সে চোখ বন্ধ করেছিল কি না আমি জানি না, তবে আমার শরীর ঘামছে। আমি পাগলের মত তার ভেজা শরীর অনুভব করছি বুকের মধ্যে। এইটা ভালবাসা না পাপ কোনটা!! আমি সত্যিই confused.

-এই তোরা ল্যাপ্টপে কি করছিস, এত হাসছিস কেন?? আমাকেও শোনা..
-আররে মামা একটা বাংলা ফোন সেক্সের অডিও পাইলাম। ইউটুবে...আয় শোন।

ফোন সেক্স মানে কি!! ফোনে সেক্স কিভাবে করে, আমিও আগ্রহ নিয়ে শুনতে লাগলাম।

-হায় জান কি করো।
-তোমাকে ভাবছি।
-শুধুই ভাববা আর কিছু করবানা, হি হি হি
-আসো তাহলে একটু আদর করে দিই__________________________!!!!
-আহ জোড়ে ____ দিও নাহ...আহ আ....

আমি এইটুকু শুনেই চলে আসলাম। আল্লাহ আমি কি করলাম, আমিও তো তার সাথে ওনেকটা এইভাবেই কথা বলি। তবে আরো শালীন ভাষায়। আমার জ্বর হলে তাকে মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে বলি। মাঝে মাঝে শীত লাগলে তাকে বলি আমাকে জড়িয়ে ধরো। কিন্তু আল্লাহ আমি কেন বুঝতে পারি নাই, কেন? এত বড় পাপ করছিলাম।

হা হা হা। তার প্রতি এইটা কোন ভালবাসাই ছিলনা। ছিল শুধুই পাপ। ভীষন পাপ। যখন ফেসবুকে ফ্রেন্ড ছিলাম, তার একটা বান্ধবীর ফোন নাম্বারো একদিন জোগাড় করলাম যদি কখনো তার ফোনে না পাই তবে তার ফ্রেন্ডের কাছে ফোন দেয়া যাবে। তার নাম ইরা। অন্য নাম্বার থেকে ইরাকে একদিন ফোন দিলাম।

-হ্যালো স্লামালায়কুম।
-কে কে বলছেন।
-ধরে নেন ফ্রেন্ড। একটু কথা বলি।
-ধরে নিতে হবে কেন। আপনাকে আমি চিনিনা তাই কথা বলার প্রশ্নই আসেনা।
-কিন্তু আপনার কোন এক বান্ধবীইতো আপনার ফোন নাম্বার দিল, বলল ও ফ্রি আছে।
-শুনেন আলতু ফালতু কথা বলবেন নাহ। আমি সবার মত নাহ। আর আমি এইসব ঘৃনা করি। ফোন দিবেন নাহ প্লিজ।

সে ফোন রেখে দিল। আমাকে তার বান্ধবী বিন্দু সম্পর্কে জানতেই হবে। প্রতিদিন রাতে তাকে মিস কল দিতে লাগলাম।

-আররে ভাই আপনি কি শুরু করছেন, প্লিজ আমি এইসবের মধ্যে নাই। কেন ডিস্টটার্ব করছেন বলেন তো।
- তাহলে আপনার বান্ধবী কেন ফোন নাম্বার দিল। আমার কি দোস। আপনি এত সুন্দর করে কথা বলেন কেনো!!
- কোন বান্ধবী বলেনতো মিলি, সোমা না বিন্দু...

বিন্দুর নাম শুনে আমার বুকটা ধক করে ঊঠলো। সে হয়ত মুখ ফস্কেই বলে ফেলেছে বান্ধবীদের নাম।

-যাদের নাম বললেন এরা কি আপনাদের হলের স্টার নাকি?
-না মানে আমাদের হলের মধ্যে ওরাই শুধু রাত জেগে জেগে ছেলেদের সাথে কথা বলে। আমার এইসব ভালো লাগেনা।
-জানেন আমার একটা ফ্রেন্ডের নাম বিন্দু, হা হা হা আপনাদের বিন্দু নাতো।
-না না ওর নতুন একটা বয়ফ্রেন্ড আছে। কালকে ওনেক গিফট পাঠিয়েছে ওর জন্যে। কিন্তু জানেন ওই ছেলেকেও কিছুদিন পর dump করবে। ও আল্লাহ অনেক রাত হয়ে গেছে, প্লিজ আমি ঘুমাই সকালে ক্লাস আছে।
-থ্যাংকস আপু অনেক বড় একটা হেল্প করলেন, এখন থেকে আমিও শান্তিতে ঘুমাতে পারবো।
-হেল্প করলাম মানে, আর আপু বলে ডাকছেন কেন? হি হি হি। শুনেন আপনি চাইলে আমাকে ফোন দিতে পারেন। কোন সমস্যা নাই। আমি জীবনে এই প্রথম কারো সাথে রাত জেগে কথা বললাম। বাই।
-ইরা আপনি ভালো থাকবেন, আর একটা কথা আপনাকে সাদাজামা আর লালটিপ এ পরীর মত লাগে। বাই।
-আ আ আপনি জানলেন কিভাবে!!
-নাই জানলেন, শুধু ঐ সাদা জামার মতই সাদা মনটা আগলে রাখবেন সবসময়। বাই।

ইরা বারে বারে ফোন দিচ্ছে। হা হা হা। নাহ আমাকে দিয়ে আর ফোনে ফোনে ভালবাসা হবে না। অবাক লাগছে মনে হয় বুকের ভেতর থেকে অনেক বড় একটা পাথর নেমে গেলো। কিন্তু সমস্যা একটাই বিন্দুর জন্মদিনে পাঠাবো বলে কেনা অনেক গুলা গিফট বাসায় পরে আছে, এইগুলা কি করবো।

প্রায় ১ মাস পর বাধ্য হয়েই অন্য আইডি থেকে বিশাল মেসেজ দিলাম বিন্দুকে।

>>

এই যে মেয়ে,
মনে হয় ভালো আছো। শুনো আমার বন্ধুরা সবসময় বলতো Prostitute আর Bitch দের মধ্যে নাকি পার্থক্য আছে। আমি হাসতে হাসতেই বুঝিয়ে দিতে বললাম কেন বললি?? ওরা বলল শোন P টাকার বিনিময়ে করে, আর সবচেয়ে বড় কারন হচ্ছে দরিদ্রতা, এই করেই তাদের ঘর চালাতে হয়, তাই এই পথে নামে, বলে কয়েই টাকা নেয়।

আমিও দেখেছি এইখানে রাস্তা ঘাটে অনেক বড় বড় সাইনবোর্ড লেখা-‘PROSTITUTIONISM isn’t a sin, this is Business ’. কিন্তু অন্যদিকে B জাতীয় যারা তাদের একটাই কাজ, ছলে বলে কৌশলে একটা মানুষকে নিঃস্ব করে তাকে একেবারে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া। এই কারনেই পৃথিবীর সবচেয়ে নিন্দিত গালি হচ্ছে-‘son of a B…..’।

আচ্ছা তুমি বা তোমার মত সবাই আমার বা অন্যদের সাথে যেই খেলায় মেতে উঠেছো তাতে তোমাকে যদি ২য় দলটাই ফেলি তুমি কি মাইন্ড করবে। হা হা হা। you B…….

ইতি
গাধা মানুষ।

সে যদি এই অন্যায় করে তার শাস্তির ভাগিদার আমাদের মত অনেক ছেলেকেই হতে হবে। তাকে মেসেজটা ইচ্ছা করেই দিয়েছি। যদি সেইটা পড়ে সামান্যতম পরিবর্তন তার মধ্যে আসে, এই জঘন্য খেলা থেকে যদি একবার সরে আসে।

বিন্দুর কল। আমি অবশ্যই ধরবোনা। অবশ্যই নাহ। অনেক গুলা মেসেজও দিলো।
>>
-এই আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। প্লিজ একটা ফোন দাও। প্লিজ I LOVE YOU. প্লিজ একবার কথা বলো।

আজ আমার ফোন দিতে ইচ্ছে করছে নাহ। আমি আর ঐ মিথ্যা জালে জড়াতে চাইনা আমাকে। সে যদি সত্যি কষ্ট পেয়ে থাকে তাহলে আমি তাকে মাফ করে দিলাম। আমি গাধা মানুষ তাই ধরে নিলাম বিন্দু কষ্ট পাচ্ছে এবং তাদের ‘টাংকি টাংকি’ খেলা চিরতরে শেষ হবে আজ থেকেই।
-------------------------------------------------------------------

কিছু কথাঃ

আমি একটা থিম নিয়ে লিখি- ভালবাসার নামে যে নোংরামী শুরু হয়েছে, তার থেকে ১ জনকেও যদি দূরে রাখতে পারি, আমি সার্থক হবো। আমি চাই সবাই আমার গল্পের এই মেসেজ জানুক, বুঝুক।

বিন্দুর মতই অনেক মেয়ে বা ছেলে গল্পটা পড়ছেন তাদের বলছি- প্লিজ ভালোবাসার বা বন্ধুত্বের নামে নোংরামীর অথৈ অন্ধকারে যেইভাবে সবাই ডুবে যাচ্ছি, আমরা হয়ত ভুলেই গেছি আমরা মানুষ অমানুষ নাহ। প্লিজ, প্লিজ একটু ভেবে দেখবেন।– নাঈম


link 

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন