শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫

পবিত্র ভালবাসা


কাউকে দূর থেকে ভালবাসা হচ্ছে 
সবচেয়ে পবিত্র ভালবাসা,
কারন এ ভালবাসায় 
কোনো রকম অপবিত্রতা থাকেনা......
শুধু নিরব কিছু অভিমান থাকে 
যা কোনো দিন কেউ 
ভাঙ্গায় না............
কিছু অশ্রুবিন্দু থাকে যা 
কেউ কোনো দিন 
মুছে দেয় না............।






লেখক------http://bdlove24.com/profile_352.xhtml?u=Habib%20Howlader

মঙ্গলবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১৫

প্রেমের কবিতা

১.  তুই আমাকে কষ্ট দিস
তারপরও তোকে ভালবাসি...
তুই আমাকে কাঁদাতে ভালবাসিস
তারপরও তোকে ভালবাসি...
তুই আমাকে দেখতে পারিস না
তারপরও তোকে এক পলক
দেখতে অস্থির হয়ে থাকি...
এত কিছুর পরো তুই আমাকে
স্বার্থপর ভাবিস...
তাইতো তোকে নিঃস্বার্থভাবে ভালবাসি
.........

২.যখন কেউ তোমাকে সব সময় মিস করে,
তখন হয়ত তোমার খুব বিরক্ত লাগে
কিন্তু কষ্ট সেদিন পাবে, যেদিন বুঝতে পারবে
তোমাকে মিস করার মত কেউ থাকবে না.......

বৃহস্পতিবার, ১৫ মে, ২০১৪

ভালোবাসা

ভালোবাসার মানুষটির সাথে দুষ্টুমি করতে মাঝে মাঝে অনেক ভালো লাগে....

ইচ্ছে করেই রাগিয়ে দেই... ইচ্ছে করেই হাসাই...

আবার ইচ্ছে করেই তার মন খারাপ করে দেই।

কিন্তু যখন সে মন খারাপ করে থাকে তখন তার চাইতে আমার মনটাই আরও বেশি খারাপ হয়ে যায় ।

এতসব খুনসুটির পর শুধু একটা কথাই বলতে ইচ্ছে করে,
"ভালোবাসা ভালোবাসে শুধুই তাকে......ভালোবেসে ভালোবাসায়
বেধে যে রাখে।"

collected....

রবিবার, ৯ জুন, ২০১৩

ভালবাসার বৃষ্টি (গল্প)

এই সোনিয়া দেখ দেখ সেই ছেলেটা, আজকেও কলেজের সামনে দাড়িয়ে আছে’ জানালার পাশ থেকে ফারিহা ডাক দেয়। বেশ কিছুদিন ধরেই ছেলেটা কে দেখছে ওদের পেছনে ঘুরঘুর করছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল কার পেছনে ঘুরছে সেটা বের করতে পারছে না ওরা চার বান্ধবী। কারন ওরা চারজনই এক সাথে কলেজে আসে আবার এক সাথেই বের হয়ে যায়, ঘুরতে গেলেও একসাথে। তাই ছেলেটা ওদের কে যখনই দেখে এক সাথে। কাকে পছন্দ করে সেটা একে অন্যের উপরে চাপিয়ে দিলেও প্রত্যেকের মনে সূক্ষ্ম আশা ছেলেটা যেন তার পেছনে ঘুরে। এই ফিল টা প্রত্যেক মেয়ের কাছেই অনেক স্পেসাল। ফারিহার ডাক শুনে সোনিয়া, তন্বী দৌড়ে আসে। মীম যেখানে ছিল সেখানেই বসেই থাকে। দেখছে ছেলেটাকে, বুঝলি সোনিয়া ছেলেটার মোটেও ড্রেস সেন্স ভাল না, দেখছিস কি পড়ে আছে, ক্ষেত কোথাকার, তন্বী বলে উঠে। আরে ধুর এই ছেলের আবার ড্রেস সেন্স। কি যে বলিস, সায় দেয় সোনিয়া। এই মীম তুই বসে বসে কি করছিস, বিদ্যাসাগরের ছোট বোন হতে চাস? এদিকে আয় ছেলেটা কে দেখ, মনে হয় তার আর কাপড় নেই, বলে হিহি করে হেসে উঠে ফারিয়া। বিরক্ত হয় মীম। ফারিহা দেখতে অনেক সুন্দর, সম্ভবত কলেজের সেরা সুন্দরী। প্রায়ই দেখা যায় কিছু ছেলে পেলে ওর পেছনে ঘুরছে। তাতে অবশ্য ফারিয়া বেশ মজাই পায়। অনিচ্ছাসত্ত্বেও জানালার পাশে গিয়ে দাড়ায়। ছেলেটা ওদের দিকেই তাকিয়ে আছে। দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না তারপরও মীম এর কাছে ছেলেটাকে অনেক কিউট লাগল। মীম ফারিহার মত আহামরি সুন্দর না হলেও আট দশটা মেয়ের সাথে দাড়ালে ওকে আলাদাই লাগবে।

ক্লাস শেষ করে ওরা যখন কলেজ থেকে বের হচ্ছে তখনও ছেলেটি সেই একি জায়গায় দাড়িয়ে। চল ওকে গিয়ে ধমক দেই,প্রস্তাব দেয় সোনিয়া। তন্বী, ফারিহা তো এক পায়ে খাড়া, বাধা দেয় মীম। আরে বাদ দে। বাসায় কাজ আছে, চল চলে যাই। এই দাড়া, তুই এত ভীতু কেন রে মীম? ছেলেটাকে ভড়কে দিব, অনেক মজা হবে, তন্বী বলে উঠে। কি আর করা ইচ্ছে না থাকলেও মীমকে যেতে হয়।

এই আপনি আমাদের পিছু নেন কেন? কলেজের সামনেও প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকেন, আপনার সমস্যাটা কি? আপনি জানেন ইভটিজার বলে আপনাকে পুলিশে দিতে পারি? সোনিয়া বেশ রাগী রাগী ভাব নিয়ে বলল, আশা করল ছেলেটা ভয় পাবে।

কিন্তু ছেলেটা ভয় তো পেলই না বরং ওদের অবাক করে দিয়ে সুন্দর হাসল। বলল, না আপনারা পারেন না, কারন আমি তো ইভটিজিং করিনি বরং আপনারা এখানে এসে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন। জানেন আপনাদের বিরুদ্ধে ১৫৭ ধারার কেস করতে পারি? নিরীহ একটা ছেলেকে হুমকি দেবার অজুহাতে। থতমত খেয়ে যায় সোনিয়া, চুপ করে থাকে সে।

মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০১৩

কেমন আছেন আপনি?


আকাশ দিকে ঘাড় উঁচু করে উদাস মনে হাঁটছিল অমি(ছদ্মনাম)। ধাক্কা খাওয়ার সাথে সাথেই থমকে দাঁড়ালো সে এবং মানুষটা। আনুমানিক ৬০-৬৫ বছরের বেশি হবে বয়স। ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকলেন অমির দিকে। অমি সাথে সাথে বলল, ‘সরি, ব্যাথা পাননি তো? কেমন আছেন আপনি?’
কিছু বললেন না। কেবল ফ্যাল ফ্যাল দৃষ্টির মাঝে শুন্যতাটা আর বেশি লক্ষ করলো সে। অমি আবার বলল, ‘আপনি ভালো আছেন?’ এবারও উত্তর মিলল না। চামড়ার নীচে কিলবিল করা হালকা নীলচে রক্তনালীসমৃদ্ধ একটা হাত তিনি অমির বাম কাঁধে রাখলেন। অমি টের পেল হাতটা একটু একটু কাঁপছে। একটু পর কাঁপা কাঁপা গলায় বুড়ো লোকটি বললেন, ‘কফি খাওয়ার অভ্যাস আছে তোমার?’
‘আছে, তবে মাঝে মাঝে।‘
‘ও! তোমাকে তুমি করে বলা যাবে তো?’
‘অবশ্যই!’
মানুষটা অভিবাবকসুলভ অমির হাতটা ধরে এগিয়ে যেতেই ঘুরে দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ও দুঃখিত, তোমার সময় আছে তো?’
আপাতত বেকার অমি, কোন কাজ মেলেনি এখনও। বলল, ‘অসুবিধা নেই, চলুন।

শনিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০১২

“রঙ”


By- Fabiha Nisa

অনন্যা আয়নার দিকে মুখ করে তার লম্বা চুলে চিরুনি দিচ্ছিল। এমন সময় তার মা এসে বলে, “দে চিরুনি দে আমাকে, আমি বেণী করে দেই”। “না মা, আমি পারব এবং তোমার চেয়ে আরও ভাল বেণী করে দেখাবো”। যদিও অনন্যা চোখ দিয়ে পৃথিবীর কোন আলো দেখতে পায় না, তবুও আয়নার দিকে মুখ করে চুল আঁচড়াতে তার মন্দ লাগে না, বরং বেশ ভালোই লাগে।

ষোল বছর বয়সী অনন্যা অন্ধ হলেও সবধরনের কাজ সে খুব সহজেই করে ফেলতে পারত। এলাকায় এমন কথাও শোনা যেত যে অনন্যার আধ্যাত্মিক জ্ঞান আছে। গল্প বলার এ পর্যায়ে এসে দীপ্তি তার ছোট বোনকে বলে, “গল্পের বাকি অংশ পরে শুনিশ। এখন ঘুমাতে যা, রাত হয়েছে”। “না আপু, তুই এখনি বল, গল্প শেষ না করলে ঘুম আসবে না”, দিয়া জেদ করে। দুই বোন পিঠাপিঠি হওয়ায় সারাদিন এক সাথে লেগে থাকে। কিন্তু দীপ্তি বুঝিয়ে বলে যে এক্ষণই মা এসে তাদের বকা দিয়ে যাবে। দিয়া নিজের রুমের উদ্দেশ্যে যাওয়ার আগে তার বড় বোনকে জিজ্ঞেস করে, “আপু, এটা কি তুই তোর নিজের জীবন কাহিনী বলছিস?” “ধুর! আমারটা কেন হতে যাবে? তুই কি মনে করিস পৃথিবীতে তোর বড় বোন ছাড়া আর কোন অন্ধ নেই”? দিয়া হেসে রুম থেকে চলে যায়।

সকালে ঘুম থেকে উঠেই দিয়া তার বোনের রুমে যায়। গিয়ে দেখে মা দীপ্তির চুলে বেণী করে দিচ্ছে। দিয়া আহ্লাদের স্বরে বলে, “কি মা! তুমি খালি আপুকেই আদর করো”। “বেশি প্যাঁচাল পারিস না, সকাল দশটায় ঘুম থেকে উঠার পর আবার বড় বড় কথা! যা পড়তে বয়”। এই বলে মা রুম থেকে চলে যায়। দিয়া অস্থির হয়ে তার আপুকে গল্প শুরু করতে বলে। দীপ্তি মুচকি হেসে গল্প শুরু করে।

সোমবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১২

ভালবাসার কষ্ট

আচ্ছা একটা কথা বলতে পারো ? ভালবাসতে হলে কি কোন বিশেষ দিন, মাস, মুহূর্তের প্রয়োজনহয় ? এটাতো যেকোনো সময়, যেকোনো জায়গায়, যেকোনো মুহূর্ততেই হয়ে যায়। শুধুমাত্র প্রয়োজন পরে ভালবাসার মানুষটিকে। মনে আছেঠিক ১ বছর আগে ঠিক এই মুহূর্তগুলোকে ঘিরে  কতই না আনন্দ ছিল আমার মনে, তোমার জন্য। কখন ১২টা বাজবে আর কখন তোমাকে ফোন করে অভিনন্দন জানাবো সবার আগে, যেন ১টি মানুষ ও আমার আগে তোমার কণ্ঠ শুনতে না পারে। সকাল হল আর অপেক্ষার প্রহর কমতে থাকল তোমার সাথে দেখা করার জন্য। আমাকে চমকে দেবার জন্য লাল রঙের শাড়ী পরে সামনে এলে তুমি। কি অসাধারন সেই মুহূর্তগুলো ! আমার হাত থেকে তুলে নিলে ভালোবাসার সেই বিশেষ প্রতীকী ফুলগুলো। কতটাখুশি দেখাচ্চিল তোমাকে তখন। আর আমি অবাক হয়ে এক দৃষ্টিতেতাকিয়েই আসি তোমার গাল এ টোলপরা আমাকে পাগল করা সেই মিষ্টি হাসিটার দিকে। হাতটা খুব জোরে চেপে ধরে বলেদিলাম, “প্রচন্ড রকম ভালোবাসি তোমায়”।, সেটা ছিল আনন্দের, হয়ত তুমি দেখতে ও পাওনি সেটা। আজও ঠিক এই মুহূর্তে সেই স্মৃতিগুলো চোখের সামনে একে একে ভেসে চলছে। সবকিছুই আজ স্মৃতি হয়ে আছে আমার জন্য। ছোট্ট ১টা কার্ডও ও ছিল সেই প্রতীকী ফুলগুলোর সাথে, ছিল না কোন ভালবাসায় ভরপুর কোন রোমান্টিক লিখা এতে, ছিল বাস্তবতার ১টি লিখা, “I m not perfect for u” । আমার ভালবাসা হয়ে গেছে তোমাকে ঘিরে কোন এক জায়গায়, কোন এক সময়, কোন এক মুহূর্তে। মনের চাপা কষ্টগুলো আজও চিৎকার করে বলতে চায়, “প্রচন্ড রকম ভালোবাসি তোমায়”। তোমাকে ভালোবাসার জন্য কোন দিন, ক্ষণ, মুহূর্ত লাগে না আমার। যেমন ছিল আগে, এখনও আসে, পরেও থাকবে ইনশাল্লাহ। আমার ভালোবাসার ওপর বিশ্বাস আসে আমার। তোমায়
ভালোবাসি তাই,
ভালোবেসে যাই .........।

সংগ্রহীত---------